-25%

কীর্তনখোলা (NEW)

Original price was: 500৳.Current price is: 375৳.

Add to Wishlist
Add to Wishlist

Description

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট জানার পর মনেমনে খুব ক্ষুব্ধ হয় সোবহান। আবারও কন্যা সন্তানের জন্ম দেবে তার স্ত্রী শেফালি। বিষয়টি মেনে নিতে পারে না সোবহান। কিছুদিন পর তার স্ত্রী শেফালির ওয়াটার ব্রেক করলে তার বাবার বাড়ির পাশেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সোবহান জোর করেই চেপে বসে বরিশাল টু ঢাকাগামী লঞ্চে। দীর্ঘ জার্নিতে কন্যা সন্তানটি জন্ম নেয় এবং শিশুটিকে লঞ্চ থেকে পানিতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করে সোবহান। সোবহানের পরিকল্পনা বুঝে ফেলে শেফালি। শারীরিক আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় শেফালি। উপয়ান্তর না পেয়ে লঞ্চের কামরায় শিশু দুটিকে রেখে পালিয়ে যায় ঘাতক বাবা সোবহান। খবরটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। জন্ম জটিলতা থাকার পরও সৌভাগ্যক্রমে শিশু দুটি অর্থাৎ মেরী ও তার বোনকে দত্তক নেয় এ সমাজেরই প্রভাবশালী দু’টি নিঃসন্তান পরিবার। আর দশটা মানুষের মতো খুব ভালো সুযোগ সুবিধা পেয়ে বড় হয় তারা। সুশিক্ষিত হয়। বড়বোন সুমীর বিয়ে হয় বড়ঘরে। কিন্তু বিপত্তি হয় যখন মেরীর বাবা করোনায় মারা যায়। যেকথা বেঁচে থাকতে বলতে পারেননি মেরীর বাবা মা- তাদের মৃত্যুর পর পারিবারিক উকিলের কাছ থেকে বেরিয়ে আসে নতুন নতুন সব তথ্য! মেরীর জীবনের কঠিন সত্য! মেরী জানতে পারে তার আরও একটি বোন আছে। অন্যদিকে মেরী ও রবিনের ভালোবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় রবিনের পরিবার। এ দুঃসময়ে মেরীর পাশে এসে দাঁড়ায় একজন স্বেচ্ছাসেবী, কর্মী আনোয়ারা অনাথাশ্রম এবং বৃদ্ধাশ্রমের কর্ণধার মিথুন। ওয়ার্ল্ডব্যাংক বাংলাদেশ শাখায় চাকরি করে রবিন। ঠিক যতটা স্বপ্ন ছিল চাকরি নিয়ে, চাকরি করতে গিয়ে ততটাই হতাশ হয় সে। প্রথম দিকে রবিন তেমন কিছু না বুঝলেও টের পায় বাংলাদেশের কিছু মানুষ কেন চিরদিন গরিব থাকে আর ধনীরা কেন ধনী হয় দিনদিন। এটা বুঝতে গিয়েই বাধে যত বিপত্তি। রবিন শুধু ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের চাকরিটাই হারায় না, প্রাণপ্রিয় বন্ধু-প্রেমিকা মেরীকেও হারাতে হয়… ওয়ার্ল্ডব্যাংক বাংলাদেশ এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা পলাশ মৃধার কুচক্রে আটকে রেখে ধর্ষণ করে পলাশ মৃধা ও মন্ত্রণালয়ের দু’জন…ঘটনাচক্রে মেরীর হাতে খুন হয় পলাশ মৃধা! খুনের পর মেরী জানতে পারে এই নরপিশাচ লোভী পলাশ মৃধা তারই একমাত্র বোন সুমীর স্বামী…

Additional information

Cover

Condition

Language

Publisher

Author

ISBN

Edition

Pages

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “কীর্তনখোলা (NEW)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *