ভূতগুলো খুব দুষ্টু ছিল
byইমদাদুল হক মিলন
“ভূতগুলো খুব দুষ্টু ছিল" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ভূতেরা, মানে একটি ধাড়িভূত উনত্রিশটি রূপ ধরতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে রূপ ধরা একটি একটি করে বাড়ে তাদের। মানুষের যেমন বাড়ে বুদ্ধি । কিন্তু রমাকান্তর বয়স কম। সে এখনও নাবালক ভূত । সবগুলাে রূপ ধরতে শেখেনি। শিখেছে মাত্র পাঁচটি। মানুষ ঘােড়া কুকুর সাপ আর বাঘ। তবে রূপ নিয়ে রমাকান্তর কোনাে অহংকার নেই । একটুখানি দুঃখ আছে । তার ভারি শখ পাখির রূপ ধরা । কিন্তু পাখির রূপ হচ্ছে নয় নম্বর । শিখতে আরও আট দশ বছর লাগবে। ইস চোখের পলকে যদি আট দশটি বছর কেটে যেত! ইচ্ছে করলেই যদি পাখি হতে পারত রমাকান্ত, তাহলে মাটিতে সে নামতই না । খেলতে যেত আকাশে । ঘুমঘুমির মাঠে কোনাে ভদ্র ভূত খেলতে আসে? এমন পচা মাঠ, একটু আনমনা হলেই বাড়ি ফেরার পথ হারিয়ে যায়। আর খেলার সময় বুঝি কেউ পথের কথা ভেবে বসে থাকে! মাঠের প্রান্তে বসে এসব ভেবে রাগও হচ্ছিল রমাকান্তর । কিন্তু রাগ করে তাে লাভ নেই। ফেরার পথ যখন হারিয়েই গেছে কী আর করা । দিনটা এই মাঠে বসেই কাটাতে হবে। রাত হলে পথ খুঁজে বাড়ি ফিরতে হবে । বাবা-মা চিন্তায় আছে। কিন্তু ভূত হয়ে কি দিন কাটানাে যাবে? মাঠে বসে থাকা যাবে! আরে না! তাহলে কেচ্ছা কেলেংকারি হয়ে যাবে। কেউ যদি দেখে আস্ত একটা ভূত বসে আছে মাঠে তাহলেই হয়েছে! দিকে দিকে সাড়া পড়ে যাবে। ভূত দেখতে ভিড় করবে রাজ্যের লােক। রমাকান্ত ভাবল সে অন্য কোনাে রূপ ধরবে। কী রূপ?
লেখক | : | ইমদাদুল হক মিলন |
প্রকাশনী | : | শিকড় |
বিষয় | : | শিশু-কিশোর গল্প |
সংস্করণ | : | 2005 |
কভার | : | hardcover |
ISBN | : | 9847032502774 |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | : | 112 |