অগ্নিপুরাণ
byমুহম্মদ নিজাম
১২০৩ খ্রিস্টাব্দ- সে বছর বর্ষার শুরুতেই মহারাজ লক্ষণসেন যখন দক্ষিণের সুন্দরবন অঞ্চলের বিদ্রোহী পাল-নৃপতি ডুম্মনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবেন বলে সুবিশাল নৌ- পদাতিক এবং হস্তীবাহিনী নিয়ে সমর সজ্জার উদ্যোগ করছেন, বখতিয়ার ততদিনের তাম্রকূট-অমরকূট জয় করে শোন-নদী পাড় হয়ে দুর্গম ঝাড়খন্ডের অরণ্য ভাগের উপর দিয়ে ঝড়ের বেগে অশ্ব হাঁকিয়ে বঙ্গ দেশের অভিমুখে ছুটে আসছেন। অন্যদিকে, আত্রাই তীরের পরিত্যক্ত রাজপুত্র নরুনের ভাবনায় উঠে আসছে পুরনো পিতাদের টগবগে অহম। যুদ্ধ দিনের দুন্দুভি- “আমি কখনো ঘুমাই না। আমার ঘুম আসে না। দিবারাত্রি অষ্টপ্রহর ঘুমে কিংবা জাগরণে নিজেকে খুব ধীরে, খুব গোপনে তৈরি করছি আমি- যারা আমার রাজ্যপাট এবং আমার ঈশ্বর এবং প্রেমিকাদের চুরি করে নিয়ে গেছে- আমি তাদের বুকের পাঁজায় শানিত তরবারি ঠেসে দিয়ে স্বর্গীয় অপ্সরাদের চুম্বনের আনন্দ পাই- যেদিন আমার সত্যিকারের রূপ দেখবে- আমার মৃগচর্ম পরিহিত পাদুকাযুগলে চুম্বনের নেশায় লালায়িত হবে যাবতীয় কামাহত প্রেয়সীরা- আমি সেই প্রখর পুরুষ-“ প্রেম অথবা যৌনতা... নির্বাণ অথবা নৃশংসতা... জয় অথবা মৃত্যুর নদী পেরিয়ে কে হবেন যুদ্ধদিনের অগ্নিপুরুষ? বাংলার ইতিহাসের সেই অবিস্ময়রণীয় অধ্যায় নিয়ে রচিত প্রেম ও যুদ্ধ দিনের গল্পে আপনাকে স্বাগতম হে বন্ধু- হে প্রিয়-
লেখক | : | মুহম্মদ নিজাম |
প্রকাশনী | : | ৫২ |
বিষয় | : | ঐতিহাসিক উপন্যাস |
সংস্করণ | : | 2020 |
কভার | : | hardcover |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | : | 336 |